অর্জুন কাপুরের 'প্রতিক্রিয়া' – মালাইকা অরোরা এবং তার বাবার মৃত্যুর পর সহানুভূতির কথা
বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছেন যে, তিনি কেন মালাইকা অরোরার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার বাবার মৃত্যুর পর। অনেকেই জানেন যে, মালাইকা এবং অর্জুনের সম্পর্ক অনেকদিন ধরে আলোচনার বিষয় ছিল, তবে তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব একটা প্রকাশ্যে কথা বলেন না। যদিও এই সম্পর্কের মধ্যে একাধিক ওঠাপড়ার ঘটনা ঘটেছে, অর্জুন কাপুর তার প্রাক্তন প্রেমিকা মালাইকার প্রতি গভীর সহানুভূতি এবং সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
অর্জুন কাপুর জানান, মালাইকা অরোরার বাবা, আনোয়ার আহমেদ, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আকস্মিকভাবে প্রয়াত হন। এমন একটি সময়ে, যখন কোনো ব্যক্তি প্রিয়জনকে হারানোর শোকের মধ্যে থাকে, তখন তার পাশে দাঁড়ানো মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও মানবিকতা থেকে আসে। অর্জুন বলেন, "এটা কোনো পরিকল্পনা বা কৌশল ছিল না। বরং এটি ছিল এক ধরনের অপ্রত্যাশিত, আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত। আমার এবং মালাইকার মধ্যে অনেক পুরনো সম্পর্ক, তাই যখন তিনি এই কঠিন সময়ে ছিলেন, আমি নিজেকে বিরত রাখতে পারিনি।"
অর্জুন কাপুরের 'প্রতিক্রিয়া'
এমন পরিস্থিতিতে অর্জুনের পাশে থাকা ছিল তার একপ্রকার 'প্রতিক্রিয়া', যেখানে সম্পর্কের সীমানা এবং সময়ের সীমানা ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি আরও বলেন, "যদি আমার জীবনে এমন একজন মানুষ থাকে, যার সঙ্গে আমি আবেগিকভাবে যুক্ত, তাহলে তার জন্য কিছু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব স্বাভাবিক ছিল। এমনকি যদি আমরা আর একে অপরের সঙ্গে থাকি না, তবুও, সম্পর্কের মধ্যে যে একধরনের অনুভূতি থাকে, সেটা মানতে হয়।"
অর্জুন কাপুরের 'প্রতিক্রিয়া'
অর্জুন কাপুরের এই মন্তব্যটি অনেকের কাছে এক নতুন দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছে। সাধারণত, সম্পর্ক শেষ হলে সেই সম্পর্কের মধ্যে অন্তর্নিহিত সমর্থন ও সহানুভূতির ক্ষেত্র থাকে না, কিন্তু অর্জুন এখানে একটি আলাদা নজির স্থাপন করেছেন। তার মতে, মানুষ যদি একে অপরের সঙ্গে আবেগিকভাবে সম্পর্কিত থাকে, তবে শেষ হয়ে যাওয়া সম্পর্কও সম্মান এবং সহানুভূতির দাবিদার।
অর্জুন কাপুর আরও বলেন, "আমি জানি না, আমরা দুজন ভবিষ্যতে কীভাবে থাকব, তবে যা কিছু ঘটেছে, তাতে আমি গর্বিত যে আমি মালাইকার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, এবং তাকে তার শোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছি। এটি আমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, এবং আমি মনে করি, এটি আমার মানবিকতা ও সম্পর্কের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই এসেছিল।"
অর্জুনের এই পদক্ষেপটি প্রমাণ করে যে, মানুষের মধ্যে আবেগের কোনো বয়স বা সময়সীমা থাকে না। সম্পর্ক শেষ হলেও, তাদের মধ্যে যে ভালোবাসা, সমর্থন, এবং সহানুভূতি ছিল, তা জীবনের কঠিন মুহূর্তে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে। অর্জুন কাপুরের এই মনোভাব নিশ্চয়ই সমাজে সম্পর্কের প্রতি আরও সহানুভূতির সৃষ্টি করবে।
এমনকি, বলিউডে যেখানে ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো প্রায়শই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকে, সেখানে অর্জুন কাপুর এবং মালাইকা অরোরা এক নতুন উদাহরণ তৈরি করেছেন, যেখানে প্রাক্তন প্রেমিকার প্রতি সহানুভূতি, শ্রদ্ধা এবং সমর্থন অপরিসীম।