কঙ্গনা রাণাউত PM নরেন্দ্র মোদির সাথে কাপুর পরিবারের সাক্ষাৎ নিয়ে মন্তব্য করেছেন: “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পূর্ণভাবে অনাথ” Kangana-Ranaut-reacts-to-the-Kapoor-family’s

কঙ্গনা রাণাউত PM নরেন্দ্র মোদির সাথে কাপুর পরিবারের সাক্ষাৎ নিয়ে মন্তব্য করেছেন: “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পূর্ণভাবে অনাথ” Kangana-Ranaut-reacts-to-the-Kapoor-family’s

Admin
0

কঙ্গনা রাণাউত PM নরেন্দ্র মোদির সাথে কাপুর পরিবারের সাক্ষাৎ নিয়ে মন্তব্য করেছেন: “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পূর্ণভাবে অনাথ” Kangana-Ranaut-reacts-to-the-Kapoor-family’s


বলিউডের মুভি ম্যাগনেট কঙ্গনা রাণাউত আবারও তার সোজাসাপটা মন্তব্যের জন্য শিরোনামে। সম্প্রতি, তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তার মতামত জানিয়েছেন, যা ব্যাপকভাবে সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তিনি কাপুর পরিবারের সেই সাক্ষাতকেই নিশানা করেছেন, যেখানে কাপুর পরিবার নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। কঙ্গনা একে ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সম্পূর্ণ অরফান হওয়া’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

কঙ্গনা রাণাউতের মন্তব্য

কঙ্গনা রাণাউত তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করে, কাপুর পরিবার এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে হওয়া এই বৈঠক সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পূর্ণভাবে এক ধরনের অনাথ হয়ে গেছে। সরকার বা সমাজের কোনো নির্দিষ্ট অংশের কাছ থেকে সঠিক সহায়তা ও সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না।”

এই মন্তব্যটি তিনি তুলে ধরেছেন বলিউডে শিল্পীদের কাজের পরিবেশ এবং শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতির বিরুদ্ধে। তার মতে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একসময় ছিল সরকারের এবং বিভিন্ন সমাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির পৃষ্ঠপোষকতার আওতায়, কিন্তু এখন সেটা পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কঙ্গনার ক্ষোভের মূল কারণ

কঙ্গনা রাণাউতের অভিযোগের মূল কারণ হলো, একের পর এক শিল্পী এবং প্রযোজকদের উপর নানা ধরনের রাজনৈতিক চাপ। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু সেলিব্রিটি কখনও রাজনৈতিক কারণে, কখনও বা নানা সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে, তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, ‘প্রশাসনিক সহায়তা না পাওয়া’ এবং ‘শিল্পী মহলের জন্য কোনো সুদৃঢ় নীতি না থাকা’কেই একদম স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

তিনি আরও বলেন, “এমনকি কাপুর পরিবারের মতো পুরনো এবং নামী পরিবারও যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে বাধ্য হচ্ছে, তখন স্পষ্ট হয় যে, আমাদের শিল্প এখন কতটা অরফান বা অনাথ হয়ে গেছে।”

কাপুর পরিবারের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ

এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল, যেখানে বিখ্যাত কাপুর পরিবার, যার মধ্যে ছিলেন অশোক কাপুর, রণধীর কাপুর, ঋষি কাপুরের পরিবারের সদস্যরা, তারা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানে তারা ভারতীয় সিনেমা শিল্পের উন্নতির জন্য নানা পরিকল্পনা এবং প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

এই বৈঠকটি ছিল একটি অভিনব উদ্যোগ, যা অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তবে কঙ্গনা রাণাউতের মতে, এই বৈঠকও প্রমাণ করে যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখন সরকারের সঠিক দৃষ্টি এবং সহায়তা থেকে বঞ্চিত।

কঙ্গনা রাণাউত এবং তার বিতর্কিত বক্তব্য

কঙ্গনা রাণাউত তাঁর ক্যারিয়ারে বারবার নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে শুরু করে বলিউডের অন্দরের নানা গোপনীয়তা ফাঁস করে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তবে তার প্রতিটি মন্তব্যের মধ্যে এমন একটি বাস্তবতা থাকে, যা সাধারণ মানুষও অনেক সময় অবহেলা করে। তিনি যেমন বলেছিলেন, “বলিউডের একাংশ কিছু রাজনৈতিক শক্তির পুতুল হয়ে উঠেছে” এবং “যেখানে শুধু কয়েকটি সিনেপরিবার নিজেদের দাপট চালায়, সেখানে বাকিরা পিছনে পড়ে থাকে।”

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কঙ্গনার আহ্বান

কঙ্গনা তার পোস্টে আরও বলেছেন, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে দেশ এবং সমাজের একটি শক্তিশালী আয়না। এটি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং মানুষদের একসঙ্গে আনতে সাহায্য করে। কিন্তু আজ এই শিল্পের প্রতি সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই।”

তিনি বলেন, দেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে এখনই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়াতে হবে, যাতে শিল্পীরা তাদের কাজের প্রতি সম্মান এবং আস্থা ফিরে পান। তিনি উল্লেখ করেছেন, যে কীভাবে শিল্পের সমস্ত অংশকে একসাথে নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা এবং পরিকল্পনার প্রয়োজন, যা শুধুমাত্র সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সম্ভব।

নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ

কঙ্গনা রাণাউত যে মন্তব্য করেছেন তা সত্যিই ভাবনা জাগানোর মতো। যেখানে একদিকে দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বিখ্যাত কাপুর পরিবারের সদস্যরা বৈঠক করছেন, সেখানে শিল্পীদের পক্ষে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একতা এবং শক্তি বজায় রাখার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। তবে, এটি মনে রাখা জরুরি যে, শিল্পের উন্নতি একটি দলগত প্রচেষ্টা, এবং এটি শুধু রাজনৈতিক স্তরের সমর্থন বা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সম্ভব নয়।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন, সঠিক পরিকল্পনা এবং সহায়তা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি শিল্পীদের একতাবদ্ধ হওয়া এবং একে অপরকে সমর্থন করা একান্তভাবে প্রয়োজন।

উপসংহার

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, বলিউড বা যেকোনো আঞ্চলিক সিনেমা শিল্পই হোক, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমর্থন ও সংহতির মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে। কঙ্গনা রাণাউতের এই বক্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, একটি শিল্পী সমাজ কতটা অরফান বা একা হয়ে যেতে পারে যখন তারা সরকারের থেকে বা বৃহত্তর সামাজিক সিস্টেম থেকে সহযোগিতা পায় না। এটা হয়তো শুধুমাত্র বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিবাদ নয়, বরং একটি গভীর সংকেত যা সরকার এবং সমাজের কাছে পৌঁছানো উচিত।



Tags

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)